বৃহস্পতিবার, ১৬ মে ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন

আমার পুত্রবধূই ভিলেন : রিফাতের বাবা

আমার পুত্রবধূই ভিলেন : রিফাতের বাবা

স্বদেশ ডেস্ক: বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যাকা-ের প্রধান সাক্ষী ও নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে গ্রেফতারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলনে এসে কাঁদলেন রিফাতের বাবা আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ।

১৩ জুলাই রাত ৮টার দিকে সংবাদ সম্মেলন করে আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ কাঁদতে কাঁদতে বলেন নিহত রিফাত শরীফের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে দ্রুত গ্রেফতার করুন। তাকে গ্রেফতার করলে আমার ছেলে হত্যার মূল রহস্য বের হয়ে যাবে। আমার ছেলে হত্যার পেছনে পুত্রবধূ মিন্নির হাত রয়েছে। আসলে আমার পুত্রবধূই ভিলেন। তার সহযোগিতায় আমার ছেলেকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি বলেন, আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে মিন্নি। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে। কারণ এই হত্যাকা-ের নেপথ্যে রয়েছে মিন্নি।

আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, আজ আমার ছেলে হত্যার বিষয়ে কিছু কথা শেয়ার করার জন্য আপনাদের সামনে উপস্থিত হযিেছ। প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইজিপি এবং সাংবাদিক ভাইদের সহযোগিতায় রিফাত হত্যাকা-ে জড়িত এ পর্যন্ত ১৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করা হযেেছ। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ-ভারাক্রান্ত মনে আমাকে বলতে হচ্ছে এ হত্যাকা-ের নেপথ্যে থাকা হোতারা ধরাছোঁয়ার বাইরে আছে। কীভাবে তারা বাইরে তা বলার জন্যই আমি আজ এখানে এসেছি। তিনি বলেন, নয়ন বন্ডের সঙ্গে মিন্নির বিযরে বিষয়টি মিন্নি ও তার পরিবার সুকৌশলে গোপন করেছে। নয়ন বন্ডের স্ত্রী থাকা অবস্থায় আমার ছেলে রিফাতকে বিয়ে করেছে মিন্নি। রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও মিন্নি নযনের বাসায যাওয়া-আসা করতো। নিযমিতভাবে নয়নের সঙ্গে যোগাযোগ করতো সে। এমনকি ঘটনার পরও তার সঙ্গে নয়নের যোগাযোগ ছিল। রিফাতের বাবা দুলাল শরীফ আরও বলেন, ইতোমধ্যে নযন বন্ডের মা একাধিক সংবাদমাধ্যমকে এ বিষয়ে আরও অনেক তথ্য দিয়ে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। মিন্নির আগের বিয়ের কথা পরিষ্কারভাবে বলে দিয়েছেন নয়নের মা। রিফাত হত্যাকা-ের আগের দিন সকাল ৯টার দিকে নয়নের সঙ্গে দেখা করতে যায় মিন্নি। ওই দিন সন্ধ্যায় নয়নের বাসায় যায় মিন্নি। রিফাতের সঙ্গে বিয়ের পরও নয়নের বাসায় মিন্নির নিয়মিত যাতায়াত ছিল।

শ্বশুর দুলাল শরীফ আরও বলেন, ঘটনার দিন রিফাতকে ছাড়া কলেজে গেলেও ঘটনার কিছু সময় আগে রিফাতকে বাসা থেকে কলেজে ডেকে নিয়ে যায় মিন্নি। কারণ হত্যাকারীদের সঙ্গে মিন্নির আগে থেকে যোগাযোগ ছিল। মোটরসাইকেলে কলেজ থেকে মিন্নিকে নিয়ে আসার জন্য রিফাত গেলে হত্যাকারীদের না দেখে আবার কলেজে ঢুকে যায় মিন্নি। সেই সঙ্গে সময় কাটাতে থাকে। পরে হত্যাকারীদের উপস্থিতি দেখে মিন্নি কলেজ থেকে বের হয়। ওই সময় মিন্নিকে নিয়ে আসতে গেলে আমার ছেলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হত্যাকারীররা।

আব্দুল হালিম দুলাল শরীফ বলেন, মিডিযায প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায রিফাতকে কোপানোর সময মিন্নি খুনিদের জাপটে ধরেছে। কিন্তু খুনিরা কেউ মিন্নির ওপর চড়াও হয়নি এমনকি মিন্নিকে একটা টোকাও দেয়নি। যখন রিফাত আহত এবং রক্তাক্ত অবস্থায একা একা রিকশাযোগে হাসপাতাল যাচ্ছিল তখন মিন্নি তার ব্যাগ ও স্যান্ডেল গোছানোর কাজে বেশি ব্যস্ত ছিল। খুনিদের একজন রাস্তা থেকে ব্যাগ তুলে মিন্নির হাতে দিয়েছে। মিন্নি ওই ব্যাগ নিয়ে স্বাভাবিকভাবে হাঁটছিল। এছাড়া আমার ছেলে রিফাত শরীফকে অ্যাম্বুলেন্সযোগে বরিশাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার সময়ও যায়নি মিন্নি। আসলে সবই ছিল মিন্নির অভিনয়। এ সময় সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, নিহত রিফাত শরীফের চাচা আব্দুল আজিজ শরীফ ও ছালাম শরীফ। এছাড়া স্থানীয় সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..

© All rights reserved © 2019 shawdeshnews.Com
Design & Developed BY ThemesBazar.Com
themebashawdesh4547877